সিঙ্গুর থেকে উত্থান আর সিঙ্গুরেই পতন হবে মমতা ব‍্যানার্জীর : লকেট

28th September 2020 4:18 pm হুগলী
সিঙ্গুর থেকে উত্থান আর সিঙ্গুরেই পতন হবে মমতা ব‍্যানার্জীর : লকেট


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সিঙ্গুর থেকে উত্থান হয়েছিল মমতা ব্যানার্জির আবার ২০২১ এ সিঙ্গুর থেকেই পতন হবে ।  কৃষকই মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে টেনে নামাবে বলে দাবি করেন হুগলি র সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি রl কৃষি বিলের সমর্থনে হুগলির সিঙ্গুরের সানাপাড়া থেকে লকেট চ্যাটার্জির নেতৃত্বে একটি মিছিল শুরু হয় । যে মিছিল টাটা প্রকল্প এলাকায় গেলে কৃষকরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । তাদের দাবি যে কারণে তারা জমি দিয়েছিল তা কিছুই হয়নি ।  খুব কষ্টের মধ্যে তাদের দিন কাটছে । তারা চায় এই জমিতে শিল্প হোক l পরে সাংসদ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিল এনেছে তার ফলে কৃষকদের ভালো হবে এবং ফড়েরাজ বন্ধ হবে l পাশাপাশি কৃষকদের দাবি পূরণে তৃণমূলে সরকার কিছুই করেনি   যে অবস্থায় জমি রয়েছে তাতে আর কোনভাবেই চাষ সম্ভব নয় এখানে l তারা চায় এই জমিতে শিল্প হোক l গোপালনগর সাউপাড়ার সামনে বিজেপির মিছিল গেলে তৃনমূলের কয়েকশো কর্মী কালো পতাকা দেখায়। কর্মসূচী ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন‍্য মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।